আয়কর রিটার্নে উপহার বা পৈতৃক সম্পদের মূল্য শূন্য আর দেখানো যাবে না।

অনেকেই গত বছর আয়কর রিটার্নে উপহার বা পৈতৃক সম্পদের হিসাব শূন্য দেখিয়েছেন। এবার থেকে আর তা করা যাবে না। স্বর্ণসহ যেভাবেই এসব সম্পদ অর্জন করুন না কেন, আপনি এর মালিক। তাই অবশ্যই এই সম্পদের মূল্য রিটার্নে উল্লেখ করতে হবে।

রিটার্ন জমা দেওয়ার কয়েকটি ধাপ রয়েছে। এর মধ্যে ‘অ্যাসেটস অ্যান্ড লায়াবিলিটিস’ পেজে সম্পদ ও দায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে হয়। যেমন—ব্যবসার মূলধন, অ-কৃষি সম্পত্তি, কৃষি সম্পত্তি, আর্থিক সম্পদ (শেয়ার, ডিবেঞ্চার, সেভিংস সার্টিফিকেট, এফডিআর, ডিপিএস), মোটরগাড়ি, সোনা, হীরা, গৃহস্থালির জিনিসপত্র, নগদ অর্থ ইত্যাদি। এছাড়া ঋণের তথ্যও এখানে প্রদান করতে হবে।

উপহার ও পৈতৃক সম্পদ দেখানোর জন্য ‘অ্যাসেটস অ্যান্ড লায়াবিলিটিস’ অংশে গিয়ে ‘এগ্রিকালচার প্রপার্টি’ এবং ‘গোল্ড, ডায়মন্ড, জেমস অ্যান্ড আদার আইটেমস’-এ গিয়ে আপনার সম্পদের মূল্য উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি এই পেজের নিচের দিকে ‘সোর্স অব ফান্ড’-এর ‘আদারস রিসিপ্টস’ অংশে গিয়েও উপহার বা পৈতৃক সম্পদের মূল্য সঠিকভাবে লিখতে হবে। কার কার কাছ থেকে উপহার পেয়েছেন সব। তবেই মোট হিসাবের মধ্যে কোনো ‘ডিফারেন্স’ হবে না।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, স্বর্ণ ও অন্যান্য সম্পদের ক্ষেত্রে বাজার মূল্য প্রদর্শন করা যাবে না। পূর্ববর্তী বছরে প্রদর্শিত মূল্যই দিতে হবে। তবে নতুন সম্পদ হলে প্রকৃত ক্রয়মূল্য উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া বিগত বছরে যেসব সম্পদ নগদায়ন বা হস্তান্তর হয়ে গেছে, সেগুলো বাদ দিয়ে অবশিষ্ট সব সম্পদ এ বছর প্রদর্শন করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *